বগুড়ার সংবাদদাতাঃ বগুড়া ১ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির গতকাল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত দলীয় সিদ্ধান্তের চিঠি দেন। উপনির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ভোট গ্রহণের তারিখ পেছানোর দাবী জানিয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির।
তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন গত মার্চ মাসের ২৯ তারিখে নির্বাচন করার জন্যে ঘোষণা দিয়েছিলো। কিন্তু সারাবিশ্বে করোনা মহামারী দেখা দেওয়ায় করোনার রেফারেন্স দিয়ে পরবর্তীতে নির্বাচন বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো। তিনি বলেন যে সময়টা তে করোনার রেফারেন্স দিয়ে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছিলো সেই সময়ের তুলনায় এখন করোনা মহামারী সারাবিশ্বে প্রকোপ আকার ধারন করেছে। পাশাপাশি বগুড়া ও তার নির্বাচনী এলাকা সোনাতলা- সারিয়াকান্দিতে একই অবস্থা। ইতোমধ্যে তার নির্বাচনী আসনে ৩ শতাধিক লোকজন করোনা সনাক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, পরীক্ষা যদি ঠিকমতো করা হতো তাহলে তার ধারণা এই সনাক্তের সংখ্যা ৫/৭ শ ছাড়িয়ে যেতো। কিন্তু পরীক্ষা কম করার কারণে এই সংখ্যা কম হয়েছে। এখানে বেশকিছু লোক মারাও গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে, করোনার পাশাপাশি তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক বন্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬/৭ টি ইউনিয়ন এই মুহুর্তে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক লোক পানিবন্দী রয়েছে। ১৫ টি ভোটকেন্দ্র এখন পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। লোকজন টিনের চালে, ভেলায় রাত্রি যাপন করতেছে। আরও অনেকগুলো ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে পানি বেষ্টনীর মধ্যে রয়েছে। কোনও অবস্থাতেই এখন নির্বাচন করা সম্ভব নয়। মানুষের এখন একদিকে করোনার আহাজারি অপরদিকে বন্যার আহাজারি। এমতা অবস্থায় মানুষের কাছে ভোট চাওয়া মানে মানুষের সাথে তামাশা করা।
সেই কারনেই কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের জান মাল রক্ষা করার জন্য ও পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখার জন্য সার্বিক দিক বিবেচনা করে এই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সীদ্ধান্ত নিয়েছে। উনারা এই সিদ্ধান্ত কে সাধুবাদ জানিয়ে একমত পোষণ করেছেন।
যদি পরিবেশ ভালো থাকে, পানি কমে যায়, করোনার প্রকোপ কমে যায় তাহলে আবার তারা নির্বাচনে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান। তারা চান যে, ভোট হলে মানুষ যেনো ভোট দিতে পারে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় লোকজনের সাথে কথা বলে তারা জেনেছেন যে এই পরিবেশে কোনও মানুষ ভোট দিতে আসবে না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন যে ভোট চাইলে জনগন এখন মনে করতেছে যে তারা তামাশা করতেছেন।
পরিশেষে তিনি বলেন যে, এই করোনার সময়ে ভোট কে কেন্দ করে যদি আরও কিছু মানুষ আক্রান্ত হয় বা মারা যায় তাহলে এর দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বি এন পির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল কাশেম, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ কে এম আহসান হাবীব রাজা, জেলা প্রজন্ম দলের সভাপতি আব্দুল আজিজ হিরা, যুবদল নেতা শাহাদাত হোসেন সোহাগ প্রমুখ।